ভন্ড জ্যোতিষী চেনার উপায়
আজকাল প্রায়ই দেখা যায় এক শ্রেনীর জ্যোতিষীরা মানুষের জীবন সম্পর্কে ভুত ভবিষ্যৎ বলার চেয়ে প্রতিকারের উপর বেশি জোর প্রয়োগ করেন। শুভ দিকগুলি চাপিয়ে দিয়ে অশুভ দিকগুলি যেমন, আপনার চাকরী চলে যাবে, ব্যাবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে, বিবাহ ভেঙ্গে যাবে ইত্যাদি হাজার রকমের সমস্যার কথা বলে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করে রত্ন, তাবিজ, মন্ত্র-যন্ত্র সহ হরেক রকমের প্রতিকার করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের কথা বার্তায় মনে হয় প্রতিকারে রাতারাতি ভাগ্য পরিবর্তন করে দেবেন। আবার অনেকে এমন মন্তব্য করে বসেন যে, প্রতিকার দেওয়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন জ্যোতিষ একমাত্র আমি। আমার হাতেই আপনার সকল সমস্যা দূর হবে। আমি ছাড়া আপনার আর কোন উপায় আছে বলে মনে হচ্ছে না। এক কথায় ভন্ড জ্যোতিষরা তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধি করার জন্য প্রথমে নানা রকম মিষ্টি কথা বলে নিজের গুনাগুন গাওয়া শুরু করবে। এখানেই শেষ নয়, দূর্ঘটনা,রক্তপাত, শনির প্রকোপ, কালসর্প দোষ, রাহুর কুপ্রভাব ইত্যাদি ভয়ভীত দেখিয়ে আপনাকে তাদের দেওয়া প্রতিকারের মাধ্যমে আপনার সকল সমস্যা দূর করনের জন্য আশ্বস্ত করবে। তার জন্য জ্যোতিষীদের প্রতি মানুষের মনে জন্মায় তীব্র অবিশ্বাস। তাই উক্ত বৈশিষ্ট সম্পন্ন জ্যোতিষদের থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
JYOTISH MARTAND
SRI SAKTIDHAR SHASTRI (GOLD MEDALIST)
B.Sc.(Physics),MKP (Astro), FKP (Astro)
MY SERVICES
KUSTI AND JOTOK
কি এই কুষ্টি? কি এই যোটক বিচার ? কেন এই বিচারের প্রয়োজন ? এর ফলে কি লাভ হয় ?
BASTU
মাত্র কয়েকটি বাস্তু টিপসে বদলে যেতে পারে জীবন। অনেকেই প্রশ্ন করেন, বাস্তুমতে ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব? এর উত্তর অবশ্যই সম্ভব। তবে তার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম।
NUMEROLOGY
অঙ্ক জ্যোতিষ অনুযায়ী, যে ভাবে মূলাঙ্ক এবং ভাগ্যাঙ্ক ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে তেমনি নামের প্রথম অক্ষর, গাড়ির নং, লটারির নং ইত্যাদির ক্ষেত্রেও বিশেষ প্রভাব আছে।
PALM READING
আপনার হাতের প্রকৃতি ও চিহ্ন বলেদেবে আপনার সম্পর্কে অনেক কথা:
MEDITATION
যোগীরা বলেন, শরীরের মধ্যে সাতটি পদ্ম বা নাড়ীচক্র আছে । এই কুণ্ডলিনীশক্তি জাগ্রত করে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ ও স্বাভাবিক করা যায়। যোগ ধ্যান সাধনভজনাদির দ্বারা জাগ্রত হয় চক্রগুলি।
ABOUT RASHI
মেষ রাশি মঙ্গলগ্রহের জাতক। জয়ের নেশায় প্রাণান্ত লড়াই করা মেষ জাতকের স্বভাব। মেষ জাতক-জাতিকার মধ্যে সাহস, ব্যক্তিত্ব ও তেজস্বী মনোভাবের প্রাবল্য থাকে। মেষ রাশির জন্মকালে মঙ্গল, রবি, বৃহস্পতি ও বুধ অনুকূল থাকলে তা জীবন সংগ্রামে সাফল্য আনতে বিশেষ সহায়তা করে। সব কাজে এরা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এদের জীবনীশক্তি অত্যধিক।
রং – সবুজ, শুভ সংখ্যা – ১৯ অধিপতি গ্রহ – মঙ্গল, শুভ রাশিরত্ন – রক্ত প্রবাল।
বৃষ রাশির মধ্যে রয়েছে এক অনমনীয় দৃঢ়তা অথচ তাদের মধ্যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা ও আনন্দ উপভোগের অভিলাষও কম নয়। এরা সাধারণত ধীরস্থির, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সুশৃঙ্খল এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এরা যে কাজে নিযুক্ত হয় সে কাজে সাফল্য লাভের তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে। এই রাশির জাতক-জাতিকার বিচার-বিশ্লেষণ ও লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা প্রবল। এরা ভারসাম্যপূর্ণ, সুহূদয় ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। জাতকের আনন্দের নেশা ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ প্রবল। ভোগবিলাসে এদের সুরুচির প্রকাশ ঘটে থাকে।
শুভ রং – নীল, শুভ সংখা – ৪ অধিপতি গ্রহ – শুক্র, শুভ রাশিরত্ন – হীরা।
মিথুন রাশি বুধ গ্রহের জাতক। বড় রহস্যপূর্ণ এই রাশি। দ্বৈততা এদের চরিত্রে প্রকট। বৈচিত্র্যপ্রিয় এই রাশির পুরুষ জাতকের যেমন রয়েছে দৃঢ়তা, কর্মশক্তি ও উত্পাদন শক্তি, তেমনি জাতিকার রয়েছে নারীসুলভ মমতা, নম্রতা, ভালোবাসা এবং স্নেহ। এদের বুদ্ধি খুব তীক্ষ হয়ে থাকে। সৃজনশীল কাজ, শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য এবং অভিনয়ে এদের যোগ্যতা থাকে। এদের মধ্যে উদারতা, পর দুঃখকাতরতা এবং দৈবানুভূতি প্রবল হয়। একই সঙ্গে দুটো কাজে লেগে থাকা মিথুনের আরেকটি স্বভাব। নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসীও এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
শুভ রং – লাল, শুভ সংখা – ৭ অধিপতি গ্রহ – বুধ, শুভ রাশিরত্ন – পোখরাজ পাথর।
এটি জল রাশি এবং এর অর্থ কাঁকড়া। এ রাশির জাতক-জাতিকারা ঘরমুখী, সংবেদনশীল, আত্মকেন্দ্রিক ও খেয়ালি স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত কল্পনা ও আবেগপ্রবণ। এরা নিজের মনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আনন্দের নেশা এদের মধ্যে যেমন প্রবল হয়, তেমনি মাঝে মধ্যেই বিষন্নও হয়ে ওঠে। অন্যের জন্য কিছু করলেও প্রতিদানে খুব একটা পায় না তারা। পরোপকারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এদের স্মৃতিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ।
শুভ রঙ – সাদা, শুভ সংখ্যা – ২ অধিপতি গ্রহ – চন্দ্র, শুভ রাশিরত্ন – রক্ত প্রবাল ও মুক্তা।
সিংহ রাশির মধ্যে রাজকীয় ভাব বিদ্যমান। এদের আভিজাত্যের প্রতি মোহ থাকে। এরা উদার, দৃঢ়সংকল্প এবং নেতৃত্বশক্তির অধিকারী হয়। ঈষৎ গর্বিত, আগ্রহী এবং অন্যদের আকর্ষণ করানোর ক্ষমতা এদের প্রবল। বিশৃঙ্খলা একেবারেই ভালোবাসে না এরা। সবার জন্য নিজের স্নেহপ্রীতি, ভালোবাসা উজাড় করে দেয়। নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর তীব্র আস্থা থাকে, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়। অনেক সময় প্রতিহিংসাপরায়ণ ও জেদের বশবর্তী হয়ে ট্র্যাজেডির শিকার হয়।
শুভ রং – হলুদ, শুভ সংখ্যা – ৮ অধিপতি গ্রহ – রবি, শুভ রাশিরত্ন – রুবি
কন্যা রাশি বুধ গ্রহের জাতক। কন্যা রাশির জাতিক/জাতিকা কুমারী তাকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। এ জাতিকা সাধারণত সরলতার কারনের আশেপাশের সকলের মাঝে বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে। পবিত্রতা এবং সরলতা ছাড়াও এ রাশির জাতক/জাতিকারা উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে এবং যে কোন কাজের শক্তি তারা এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই পেয়ে থাকে। তবে এদের মাঝে আবেগ দিয়ে কাজ করার প্রবনতা বেশী দেখা যায় বলে এর যে কোন কিছুতে হুট করে অভিমান করে ফেলতে পারে। বাস্তবতার থেকে এরা আবেগকে বেশী গুরুত্ত দেয় বলে এরা কারো কোন খারাপ কথা বা সমালোচনা মেনে নিতে পারেনা। এরা সুন্দর জিনিসটি ভালো বোঝে, ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমন করা এদের পছন্দের।
শুভ রঙ – বাদামী, শুভ সংখ্যা – ৪ অধিপতি গ্রহ – বুধ, শুভ রাশিরত্ন – পান্না
তুলা রাশির জাতক-জাতিকার বিচার-বিশ্লেষণ ও লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা প্রবল। এরা ভারসাম্যপূর্ণ, সুহূদয় ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। জাতকের আনন্দের নেশা ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ প্রবল। ভোগবিলাসে এদের সুরুচির প্রকাশ ঘটে থাকে। ন্যায়সঙ্গত মতপ্রকাশে পশ্চাৎপদ হয় না।এরা সাধারণত ধীরস্থির, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সুশৃঙ্খল এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এরা যে কাজে নিযুক্ত হয় সে কাজে সাফল্য লাভের তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে।
শুভ রং – হলুদ, শুভ সংখা – ৯ অধিপতি গ্রহ – শুক্র, শুভ রাশিরত্ন – পান্না – হীরা
রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, শাসকগ্রহ মঙ্গল। এ রাশির জাতক-জাতিকারা কাজপাগল, ইচ্ছাশক্তি প্রবল, প্রয়োজনে বিদ্যুৎগতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যের দোষ ধরতে পারদর্শী, পান থেকে চুন খসলে তিক্ত কথা শুনিয়ে দিতে পশ্চাৎপদ হয় না। এরা স্বাধীনপ্রিয় ও দূরদর্শী, বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে একটু একটু করে লক্ষ্যে পৌঁছায়। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘদিন মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে।
শুভ রং – লাল, শুভ সংখা – ৩ অধিপতি গ্রহ – মঙ্গল, শুভ রাশিরত্ন – রক্তপ্রবাল
ধনু রাশি বৃহস্পতি গ্রহের জাতক। এরা সত্যবাদী, আবেগী, প্রখর আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন এবং অন্যায় সহ্য করে না। অন্যরা সহজেই এদের ভুল বোঝে। এরা খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি বেশি লক্ষ্য করে। অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য শত্রু সৃষ্টি হয়। লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজে ব্রতী হয়। সমাজসেবায় সুনাম লাভ করে থাকে। গুরু, শিক্ষক ও উপদেষ্টার ভাব প্রবল এদের মধ্যে।
শুভ রং – নীল, শুভ সংখ্যা – ৯ অধিপতি গ্রহ – বৃহস্পতি, শুভ রাশিরত্ন – পোখরাজ
মকর রাশি শনিগ্রহের জাতক। ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণুতার প্রতীক মকর জাতক-জাতিকা। এদের অন্তর্দৃষ্টি তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা যোগ্যতা দেখাতে পারে। কর্তব্য, প্রেম ও সামাজিকতার ব্যাপারে সাধারণ থেকে এরা একটু স্বতন্ত্র হয়। দায়িত্বজ্ঞান, সময়জ্ঞান ও নিয়মনিষ্ঠা প্রবল হয়ে থাকে।অনেকসময়ই এা উচ্চপদে আসীন হয়।
শুভ রং – সাদা, শুভ সংখ্যা – ৩ অধিপতি গ্রহ – শনি, শুভ রাশিরত্ন – ইন্দ্র নীলা
কুম্ভ রাশির জাতক অথবা জাতিকারা নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে থাকে। এদের আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়। এরা নিষ্ঠাবান, মানবপ্রেমী, সংবেদনশীল, আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয়। জনপ্রিয় হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কম হয়ে থাকে। ভোগ ও ত্যাগ দুই ব্যাপারেই বিশেষভাবে পারদর্শী। অত্যন্ত আরামপ্রিয় ও কিছুটা অবাস্তববাদিতার জন্য সাফল্যে বাধা আসে। ভাবপ্রবণতাকে প্রশ্রয় দিলে এদের জীবন নিরাশপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
শুভ রঙ – সবুজ, শুভ সংখ্যা – ৮ অধিপতি গ্রহ – শনি, শুভ রাশিরত্ন – অপরাজিতা নীলা
যে সকল জাতক জাতিকাদের জন্ম তাদের মীন রাশি তারা তীব্র কৌতূহলী এবং জীবনকে দেখে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে। সহানুভূতি ও ক্ষমা এদের বিশেষ গুণ। প্রেম ও ধর্মের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে। মানুষের মন ও চিন্তাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে।
শুভ রং – নীলা, শুভ সংখ্যা- ৪ অধিপতি গ্রহ – বৃহস্পতি, শুভ রাশিরত্ন – পোখরাজ
ABOUT PLANET
রবি
পিতৃকারক গ্রহ, মান, সম্মান ও জশের কারক।
চন্দ্র
মাতৃ কারক গ্রহ, মনের কারক।
বুধ
বুদ্ধি কারক গ্রহ। বুধ চন্দ্রের দ্বিতীয় অবস্থান করলে সেই জাতক বেদজ্ঞ হন ,সংগীত প্রিয় মানুষ হন ,বাচন ভঙ্গি সুন্দর হয় ।
শুক্র
বিবাহ কারক গ্রহ।রুচিশীল মানসিকতা ,অপরকে খুশি করার মানসিকতা ,খ্যাতিমান ।
মঙ্গল
ভাতৃ কারক গ্রহ। পজিটিভ চিন্তা ভাবনা ,স্বনির্ভরশীল মানসিকতা ,রাজ তুল্য ক্ষমতার অধিকারী ।
বৃহস্পতি
সন্তান কারক গ্রহ। ধৰ্ম প্রাণ মানুষ হন , বুদ্ধিমান হন ,অর্থ সঞ্চয় করার প্রবণতা থাকে ,শিক্ষকতা প্রিয় জীবিকা ।
শনি
দর্শনের কারক গ্রহ। ধৈর্য্যশীল ,সহনশীল ,দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জয়ী। ত্যাগী ,পরোপকারী ।
রাহু
এটি ছায়া গ্রহ। অবৈধ্য গ্রহ। সীমাহীন ভোগ,অবৈধ্য রোজগার, মামলা, উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।
কেতু
এটি রহস্যময় ধোঁয়াটে গ্রহ ও সাপের প্রতীক। তন্ত্র, মন্ত্র, গুহ্য বিদ্যা, সন্ন্যাস, ত্যাগ এর প্রতীক।
ABOUT NAKSHATRA
জন্মের সময় চন্দ্র যে নক্ষত্রে থাকে সেটাই আমাদের জন্ম নক্ষত্র। তাহলে আগে দেখেনি নক্ষত্র কতগুলি এবং কি কি।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের রাশি চক্রের বারটি রাশির কথা আগেই বলা হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে পুরো রাশি চক্রের ব্যাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি। চন্দ্রের পুরো রাশিচক্রকে একবার ঘুরে আসতে ২৭ দিন সময় লাগে। রাশি চক্রের ২৭টি ভাগ আছে। এই এক একটি ভাগের ব্যাপ্তি ১৩ডিগ্রি ২০ মিনিট। এই এক একটি ভাগকে নক্ষত্র বলা হয়। তাহলে ৩৬০ ডিগ্রিতে যদি ২৭ টি নক্ষত্র থাকে তবে এক একটি নক্ষত্রের ব্যপ্তিও ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে অর্থাৎ মেষরাশির শুরু থেকে ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট অন্তর পর পর একটি করে নক্ষত্র রয়েছে। নক্ষত্রগুলির নাম ও সংখ্যা হ’ল – অশ্বিনী (১); ভরণী (২); কৃত্তিকা (৩); রোহিণী (৪); মৃগশিরা (৫); আর্দ্রা (৬); পুনর্বসু (৭); পুষ্যা (৮); অশ্লেষা (৯); মঘা (১০); পূর্বফাল্গুনী (১১); উত্তরফাল্গুনী (১২); হস্তা (১৩); চিত্রা (১৪); স্বাতী (১৫); বিশাখা (১৬); অনুরাধা (১৭); জ্যেষ্ঠা (১৮); মূলা (১৯); পূর্বাষাঢ়া (২০); উত্তরাষাঢ়া (২১); শ্রবণা (২২); ধনিষ্ঠা (২৩); শতভিষা (২৪); পূর্ব্বভাদ্রপদ (২৫); উত্তরভাদ্রপদ (২৬); রেবতী (২৭)।
কোন কোন জ্যোতিষী মুলতঃ নক্ষত্রের উপরে নির্ভর করেই ফলাফল বলেন। এটাই নক্ষত্র জ্যোতিষ (stellar astrology)।
আপনার জন্ম নক্ষত্র কি তা জানেন কি? জানলে আপনার নক্ষত্র অনুযায়ী ফলাফল নিন্মে দেওয়া হল। এটি স্থুলভাবে সকল জাতক ও জাতিকার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
অশ্বিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা কেতু। এই নক্ষত্রে জন্ম জাতকহয় বুদ্ধিমান, মেধাবী,তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন এবং নিজের চেষ্টায় জীবনে উন্নতি করে। প্রথম জীবনে বিদ্যা লাভ হয়। মধ্যবর্তী জীবনে কিছু কষ্টে ও ব্যায়ের মধ্যে দিয়ে ভাল বসতি করে। কর্ম ক্ষেত্র শুভ হয়। অনেকে তাকে মান্যকরে নেতৃত্ব করতে পারে। আত্মীয় স্বজনদের জন্য চিন্তা থাকে। সন্তান প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়। দাম্পত্যক্ষেত্র মধ্যম। জীবনে মাঝে মাঝে হঠাৎ উন্নতি আসে। মাঝ বয়েসে বা শেষ বয়েসে কয়েক বছর ব্যায়বাহূল্যে কিছুটা কষ্টপেতেও পারে।
ভরনী নক্ষত্রের অধিকর্তা শুক্র। এদের জীবনে শুভাশুভ মিশ্র ভাব এ কাটে। এরা পরিশ্রমী কমহয়, তবে মেধা খাটিয়ে কর্ম পরিচালনা দ্বারা জীবনে উন্নতি করিতে পারে। জীবনে সুযোগ মন্দ পায়না। জীবনের প্রথম দিকে অশুভভাবে কাটে। মধ্য বয়েস থেকে শুভ ভাব চলে। তখন অর্থ সঞ্চয় করলে শেষ জীবন সুখে কাটে। অর্থ বেশী অপচয় করলে বেশী বয়েসে আর্থিক দূশ্চিন্তায় ভোগে। দাম্পত্য জীবন বেশী সুখের নয়।
কৃত্তিকা নক্ষত্রের অধিকর্তা রবি। এরা যথেষ্ঠ পরিশ্রমী হয়। স্পষ্ট সত্যকথা বলতে ভালো বাসে।এদের জীবনে মাঝে মাঝেই বাধাবিঘ্ন আসে। অনেকেই এদের ভুল বোঝে। জীবনে অনেক বাধা বিঘ্ন আসলেও শ্রম দ্বারা এরা উন্নতি করতে সফল হয়। মাঝে মাঝে পাড়া প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে অন্যের প্রতি ভাল কাজ করলেও যশ বা প্রতিদান কম পায়। দাম্পত্যক্ষেত্র মোটামুটি শুভ।
রোহিনী নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। চন্দ্রের প্রকৃতি কিছুটা এদের মধ্যে থাকে। এরা শান্তিপ্রিয় এবং সবকিছু সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে করতে চায়। লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। অনেক সময় এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রিয় হয়। এরা সরল লোক ভালবাসে। নানা কাজে পার্গত হয়।
মৃগশিরা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা ধীর স্থির কিন্তু কোন অন্যায় দেখলে এদের মাথা গরম হতে পারে। এদের মধ্যে মাঝে মাজে একটু দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেকে এদের শ্রদ্ধা করে। এবং এরা মিশুকে হয়। এদের জীবনে মাঝে মাঝে কর্মোন্নতির শুভ যোগ আসে। কিন্তু আত্মীয় ও পরিবেশ থেকে মনে আঘাত পায়।
আদ্রা নক্ষত্রের অধিকর্তা রাহু। এদের নিজ শ্রমদ্বারা উন্নতি করার চেষ্টা থাকে। তবে কাজে সফল হয়না। আকস্মিক প্রাপ্তিযোগথাকে। মানসিক চাঞ্চল্য ও দূশ্চিন্তার ভাব থাকে। দাম্পত্যক্ষেত্র শুভনয়। মাঝে মাঝে নানা রোগ ভয়।
পুনর্নবসু নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এরা মেধাবী হয় ও জীবনে উন্নতি করিতে পারে। প্রচুর সন্মান ও অর্থ লাভ করে থাকে। প্রায়ই মানসিক শান্তি ও আনন্দে থাকে। ভাই বোনদের জন্য কিছু চিন্তা হতে পারে। অনেকের বন্ধুত্ব ও সাহায্য লাভ করে। ব্যাবসা ও চাকরি দুটোই শুভ।
পুষ্যা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনি। এরা খুব ধার্মিক হয়। সংসারে আসক্তি কম থাকে। আধ্যাত্মিকভাব প্রবল হয়। মনুষ্যের মঙ্গল করতে ভালো বাসে। এদের মধ্যে যোগ জ্যোতিষ আধিভৌতিক প্রভৃতির দিকে আকর্ষণ থাকে। ভাগ্য শুভ, কর্মলাভ অর্থলাভ ও নানা দিকে উন্নতি হয়। গুরুজন ব্যাক্তিদের জন্যে চিন্তা থাকে।
অশ্লেষা নক্ষত্রর অধিপতি বুধ। এদের জীবনে সব সময় দ্বিধাও দ্বন্দ্ব ভাব থাকে দ্বিমনা ভাবের থাকে। অনেক কাজ শুরু করে শেষ করতে পারেনা। তাই জীবনে অতৃপ্তি আসে। তবে শ্রম করলে উন্নতি হবেই। দাম্পত্য শুভ হয়। মাঝে মাঝে বাধা বিপত্তি ও চিন্তা হতাশায় জীবন উত্থান, পতন, হতেই থাকবে।
মঘা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এরা খুব তেজী হয় এবং আত্ম অভিমান প্রবল হয়। এরা স্পষ্ট কথা বলতে ভাল বাসে। তাই অনেকের অপ্রিয় হয়। এদের মেধাশক্তি খুব উচ্চ নাও হতে পারে। মধ্যম ভাবে জীবন কাটে। নানা বাধার মধ্যদিয়ে উন্নতি হয়। কিন্তু সময়ে হতাশা দেখাদেবে। মনে আবেগ প্রবনতা থাকে।
পুর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র এরা মিষ্টিভাষী ও ধীর স্থির এবং একটুগম্ভীর প্রকৃতির হয়। যা করবে মন স্থির করে নেয় সময় বিশেষ কখন প্রকাশ করেনা। অন্যের সমালোচনা করে নির্ভীক ভাবে। ভয় কম থাকে। মাঝেসময়ে কিছু স্বার্থ ভাবদেখা যায়। নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে। এদের জীবনে শুভযোগ অর্থ, আনন্দলাভ,ও সাংসারিক দিকে উন্নতি হয়।
উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এরা খুব ভক্তিমান হয়। এবং ঈশ্বরের কৃপালাভ করে। এরা স্ত্রীর বশীভূত হতে পারে। সত্য ও সৎ পথে থেকেই এরা উন্নতিসাধন করে। জাতক সুহৃদয়শীল হয় অনেককে সাহার্য্যও করতে ভাল বাসে। এরা সৎবুদ্ধিযুক্ত এবং সদ্ভাবনার হয়।
হস্তা নক্ষত্রর অধিকর্তা চন্দ্র, এরা চোখের রোগ,বাত, পিত্তরোগ, সর্দিকাশি, প্রভৃতিতে কষ্ট পেতে পারে। এরা জ্ঞানী, বিচক্ষণ, বুদ্ধীমান, চতুর ও মেধাবী হয়। জাতক দীর্ঘায়ূহয়। পারিপার্শিক বাধা না এলে এরা বিরাট শিক্ষিত হয়। নিজ বুদ্ধির দ্বারা প্রচুরঅর্থ উপার্জন করে।
চিত্রা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা সত্যবাদী, বিচক্ষণ ও অল্পাহারী হয়। ছোটখাট রোগ ব্যাধি অনেক হয়। অর্থ উপার্জন করে মধ্যম। বহূ কুটুম্ব থাকে। ক্ষমতাশালী হলেও একটু অলস হয়। স্থূলকপাল লোম যুক্তদেহ। দাতের রোগের ভয়।এরা মাঝে মাঝে জণসাধারনের প্রিয় হয়। কখন আবার অপ্রিয় হয়। উত্থান পতনের মধ্যদিয়ে জীবন। তবে এদের তেজ ও সাহস থাকে মনের জোর প্রচুর।
স্বাতী নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মধ্যে শান্তভাব থাকবে। তবে কখন বা হঠাৎ করে রেগে ওঠে। এদের কপালস্থূল, দ্বাতা,সুবুদ্ধিমান, সৎপরামর্শ দাতা, বিদ্বানহয়। এরাধনবান হলেও মনে বৈরাগ্য ভাব থাকে। এরা হয় শুরেশ, দেবদ্বিজে ভক্তিপরায়ণ। সন্তানদের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে।
বিশাখা নক্ষত্রর অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের মাথাভার মাথাব্যাথা, পিত্তরোগ হতে পারে। এরা হয় দেবভক্ত, সত্যবাদী, এবং জিতেন্দ্রিয়। ধার্মিক ভাব থাকে প্রায়ই জ্ঞাণী হয়। অজীর্ণরোগ হয়। মোটামুটি সন্দেহ যুক্ত, কামী হয়। তবে এরা নিজ চেষ্টাদ্বারা ধনীহয়। এদের হৃদয়ে সদ্ভাবনা প্রচুর থাকে। কারো সঙ্গে ঝমেলা পছন্দ করে না। তবে রেগে গলে মাথা খুব গরম হয়।
অনুরাধা নক্ষত্রর অধিকর্তা শনিদেব। এদের দেহ শ্যামবর্ণ হয়, এরা খুবগভীর ও দয়ালু প্রকৃতির হয়। ধর্মে মতি থাকে। চেষ্টাকরলে যথেষ্ঠ জ্ঞাণলাভ করতে পারে। এদের পেটের বা লিভারের রোগ হয়। এরা সুদেহী, কামভাব বেশি। শ্রমদ্বারা ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। মনন শীলতা থাকে, তবেঅব্যয় খরচ দেখলে মাথাগরম হয়।
জেষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা বুধ, এরা খুব দয়ালু হৃদয়বান থাকে। চেষ্টাকরলে এরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। বাতরোগ পিত্তরোগ মাথার রোগ হতে পারে। এদের মধ্যে অল্প বয়েসে বেশী বুদ্ধির বিকাশ হয় এরা খুব বাস্তববাদী ও শ্রমশীল। তবে প্রচুর আয় করে গরীব দঃখীদের সাহার্য্য করে থাকে।
মূলা নক্ষত্রর অধিকর্তা কেতু। এদের কপালহয় গজের মতো। শীতলদেহ বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা গান বাজনা ভাল শিখতে পারে। এরা খুব আড়াম্বরপ্রিয় হয়। এদের বহূ আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। এরা প্রায়ই একটু কৃপণ হয়। সন্তানের জন্য বিশেষ চিন্তাথাকে। দাম্পত্য মধ্যম, এরা নিজ মনের কথা প্রায় লুকিয়ে রাখে।
পূর্ব্বাষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা শুক্র,এদের কপালস্থূল মতো। এরা লেখাপড়া ভাল শিখতে পারে। একটু আড়ম্বরপ্রিয় চোখ একটু রক্তাভ। এদের বহূত আত্মীয় কুটুম্ব থাকে। একটু খরচী হয়। এরা গৌরবর্ণর শুচিবদন জাতক দীর্ঘায়ূ এবং বাবা মার প্রিয় হয়। বহূ লোকের ও আপন আত্মীয়র আশ্রয়দাতা হয়। তবে প্রশংসা কম পায়।
উত্তরষাঢ়া নক্ষত্রর অধিকর্তা রবি। এদের দেহ একটু স্থূল মতো মনে গর্বিত ভাব থাকে। জাতকের যশ লাভহয়। গান বাজনা ও শিল্পে পার্গত হয়। এদের অজীর্ণ উদারময় বাতরোগ লিভার রোগঅম্লরোগ দেখা দেয়। পিঠ একটু কুঁজো ভাব, এরা অনেকের শ্রদ্ধালাভকরে এবং সন্মানিত হয়। এদের কাছেথেকে সবাই সমান সাহায্য পায়না।
শ্রবনা নক্ষত্রের অধিকর্তা চন্দ্র। এদের দেহ একটু কঠিন হয়। চাপা গজ কপাল, শ্যামবর্ণ হয়। এদের বাতরোগ, লিভাররোগ, অম্ল, অজীর্ণ, রোগ হয়। চোখ একটু রক্তাভ হয়। এরা বেশ সু-রসিকহয়। পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান শ্রমদ্বারা জীবনে উন্নতি করে। খরচা বেশী করতে চায় না।
ধনিষ্ঠা নক্ষত্রর অধিকর্তা মঙ্গল। এরা গৌরবর্ণ ধার্মিক ও দেবভক্ত হয়। পেটেররোজ ও অজীর্ণ রোগ হয়। উপার্জন মধ্যমহয়। মন খুব চঞ্চল, খেতে ভাল বাসে। মাঝে সময়ে ভ্রমনে খুশী হয়। অনেক সময় ধনী ও দাতাহয়। মাঝ বয়েস থেকে সুখী হয় প্রথম জীবনে সংগ্রাম।
শতভিষা নক্ষত্রর অধিকর্তা রাহু। এদের মন বেশ পবিত্র এবং সত্যনিষ্ঠ হয়। জীবনে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে। শ্যামবর্ণ হয়। এদের আমবাত এলার্জি স্নায়বিক ও চোখেররোগ হয়। এরা বিবেকি এবং বৈরাগ্য ভাবের হয়। শেষ জীবনে সন্ন্যাস ধর্ম লাভ করিতে পারে। ব্যাবহার মধুর তবে স্বভাব চাপা।
নক্ষত্র অধিকর্তা বৃহস্পতি। এদের কপাল প্রশস্ত নাসা উন্নত হয়। দেহ তাম্রবর্ণ। বিপরীত লিঙ্গের বশীভূত হয়। এরা পরোপকারী এবং দয়ালু প্রকৃতির হয়। রূপ সুন্দর হয়, রাজভক্ত রাজসেবক হতে পারে। জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন যেমন করে তেমন খরচও অত্যাধিক করে। গৃহ নির্মাণ যোগ আছে। জাতক বিদ্বানও হয়।
উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র অধিকর্তা শনিদেব। এরা গৌরবর্ণ ও রূপবান হয়। গম্ভীর ভাব থাকে,সরকারী কাজ করলে প্রচুর উন্নতি করে। এরা নির্জনতা পছন্দ করে যাদুবিদ্যা, জ্যোতিষ, গভীর জ্ঞাণের পুস্তকপাঠ প্রভৃতি ভাল বাসে। হালকা ভাব সদায় পছন্দ করে। এদের মন বাইরে বোঝা কঠিন।
রেবতী নক্ষত্র অধিকর্তা বুধ। এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, এরা সুন্দর চেহেরা বিশিষ্ট, গৌর বর্ণ জ্ঞাণী মানী এবং বিরাট যশস্বী হতে পারে। এদের কেশ দীর্ঘ ও কাম ভাব বেশী থাকে এবং একাধিক নারীতে আকৃষ্ট হতে পারে। এরা বাইরে হালকা স্বভাব কিন্তু ভিতরে ভীষণ চতুর। মাঝে মাঝে দ্বিমনা ভাব দেখা যায়। অনেক সময় খেয়ালের বশে অনেক কাজ করে । বৃদ্ধি ও শিল্পী কাজে এরা প্রচুর উপার্জন করে।